গুগল তাদের হোমপেজে লোগো পরিবর্তন করে বিশেষ ডুডল প্রকাশ করে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির জন্মদিন বা দিবসকে স্মরণ করে।
গালিব ১৭৯৭ সালে আগ্রায় জন্মগ্রহণ করেন। নয় বছর বয়সেই গালিব ফার্সিতে কবিতা লিখতে শুরু করেন৷ ১৮১০ সালের ৮ আগস্ট তের বছরের কম বয়সে গালিব নওয়াব ইলাহী বখশ খানের কন্যা ওমরাও বেগমকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আগ্রা থেকে দিল্লিতে চলে আসেন৷
তিনি জীবনকালে বেশ কয়েকটি গজল রচনা করেছিলেন যা পরবর্তীতে বিভিন্ন জন বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্নভাবে গেয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় তাকে উর্দু ভাষার সবচেয়ে প্রভাবশালী কবি বলে মনে করা হয়। আজও শুধু ভারত বা পাকিস্তানে নয় সারা বিশ্বেই গালিবের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
গালিব কখনও তার জীবিকার জন্য কাজ করেননি। সারা জীবনই তিনি হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অথবা ধার কর্য করে নতুবা কোনো বন্ধু উদারতায় জীবনযাপন করেন। তার খ্যাতি আসে তার মৃত্যুর পর। তিনি তার নিজের সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি বেঁচে থাকতে তার গুণকে কেউ স্বীকৃতি না দিলেও, পরবর্তী প্রজন্ম তাকে স্বীকৃতি দেবে। ইতিহাস এর সত্যতা প্রমাণ করেছে। উর্দু কবিদের মধ্যে তাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি লেখা হয়েছে।